পাগলি
- মোঃ পারভেজ মিয়া - কবিতা ০৫-০৫-২০২৪

চার রাস্তার মোড়ে
কিংবা শহর আর বন্দরে
কত মানুষ বেড়ে উঠে অবহেলার ছলে
কেউ রাখেনা তাদের খবর
কারন তারা অসহায় বলে।

এমনি এক শহর আর বন্দরের মাঝে
পাগল একটি মেয়ে
বেড়ে উঠছে সকাল সাঁঝে।
তার এই জন্মটা হলো বিধাতার ভূল
নয়তো পূর্ব জনমের
ভূলের সে দিতেছে মাসুল।

সবাই তাকে ডাকতো মিনতি বলে
খেতে পড়তে দিত তাকে অবহেলার ছলে।
এমনি করে খেয়ে না খেয়ে
শৈশব কৈশর পেড়িয়ে
একদিন ঠিক সে উঠল যুবতি হয়ে।
এমনিতেই সে পাগলি
তার উপরে সে যুবতি
ভাগ্যের কি পরিহাস
হায়রে নিষ্ঠুর নিয়তি।
পাগলি বলেই কি নেই
তার কোন অধিকার
মান ইজ্জত সম্মান
সব টিকিয়ে রাখার।
হীন মানুষের লোলুপ
দৃষ্টি পড়ল উপরে তার।
একদিন নয় দুদিন নয়
আসলো বার বার
কেড়ে নিল মান ইজ্জত সম্মান সব তার।

এমনি করে তার সময় যায় বয়ে
কাউকে কিছু না বলে কয়ে।
একদিন গর্ভবতী হয়ে উঠল সে
পাগলি বলেই নেই তার
বিচার খোদার আরশে।
দশমাস দশদিন পর জন্ম নিলো
একটি চাঁদের মতো ফুটফুটে ছেলে
অসহায় ভাবে এই পাগলি মায়ের কোলে।
কে নেবে এই নিষ্পাপ শিশুর দায়ভার
তাই জন্ম নিয়েই ছোট শিশু
চিৎকার করলো বার বার
জানালো তারো আছে
সুষ্ঠুভাবে বেচে থাকার অধিকার।

দিন গেলো মাস গেলো
বছর ঘুরে এলো
অসহায় অনাদরে সেই শিশু
একটু একটু করে বড় হলো
এক সময় সেই শিশু
মা মা বলে ডাকতে শিখলো।
এভাবে কেটে গেলো কতটি বছর
কেউ রাখলো না তাদের খবর।

একদিন ছোট ছেলে
প্রশ্ন করলো মাকে তার
সবার বাবা আছে
তবে নেই কেনো বাবা তার।
সবার বাবা তাদের ছেলেকে
কতো আদর সোহাগ করে
আমার বাবা আমার কাছে
আসে না কেনো ফিরে।
ছেলের এই প্রশ্নের কি দিবে উত্তরে
তাই পাগলি মায়ের
আখি দুইটি জলে ভরে
ছেলেকে কোলে নিয়ে আদর করে
বলল তোমার বাবা আছে
এই সমাজের মানুষের ভিতরে
সাজানো ফুলের মতো স্তরে স্তরে।।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 3টি মন্তব্য এসেছে।

kobitapagolkobir
১৬-০৪-২০১৫ ১৮:৪৭ মিঃ

suru ta valo silo but ses ta kemon jani hol

parvejmia
১৩-০৪-২০১৫ ১৬:৩৩ মিঃ

কবিতাটি বাস্তব ঘটনার প্রেক্ষিতে লেখা।
জানিনা কেমন লিখেছি। তবে এই মিনতি
পাগলের প্রতি আমার অশেষ শ্রদ্ধা রয়েছে।
পারভেজ।

parvejmia
১৩-০৪-২০১৫ ১৬:৩২ মিঃ

কবিতাটি বাস্তব ঘটনার প্রেক্ষিতে লেখা।
জানিনা কেমন লিখেছি। তবে এই মিনতি
পাগলের প্রতি আমার অশেষ শ্রদ্ধা রয়েছে।
পারভেজ।